📍 নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই | অল প্রেস ডেস্ক

লোকসভায় আজ ঘটে গেল এক বিস্ময়কর ঘটনা। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যখন একে একে শহীদ জওয়ানদের নামের আগে ‘ভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করে তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন, তখনই স্পিকার ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতিতে সংসদে তৈরি হয় উত্তেজনা, বয়ে যায় রাজনৈতিক তোলপাড়।

🎙️ ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে?

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন—

“আমি আজ এই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের ভারতীয় শহীদদের নাম নিচ্ছি, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের জন্য ন্যায় চাই।”

তিনি যখন শহীদদের নাম পড়ছিলেন — যেমন “ভারতীয় শহীদ রাজীব সিং”, “ভারতীয় শহীদ সঞ্জয় দত্ত”, ইত্যাদি — তখনই স্পিকার ওম বিড়লা বলেন:

“আপনি অতিরিক্ত শব্দ জুড়ে বক্তব্যকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছেন। দয়া করে নিয়ম অনুযায়ী চলুন।”

এটাও পড়ুন

🚗 Tata Nexon 2025: প্রিমিয়াম SUV, ৫৫ কিমি/লিটার মাইলেজ দাবি ও বিশেষ EMI অফারের বিশদ বিশ্লেষণ

⚡ প্রিয়াঙ্কার জবাব— “ওরা ভারতীয় নয়?”

স্পিকারের হস্তক্ষেপে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয়াঙ্কা বলেন:

> “আমি যদি শহীদের আগে ‘ভারতীয়’ না বলি, তবে কী বলব? তারা কি বিদেশি ছিলেন? ওরা আমাদের সন্তান, আমাদের ভারতীয় বীর!”

এই বক্তব্যে কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো জোরালোভাবে সমর্থন জানায়। সরকার পক্ষ অবশ্য এটিকে “আবেগ দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা” বলে কটাক্ষ করে।

এটাও পড়ুন

🌍 ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি: দ্বি-রাজ্য সমাধানের স্বপ্ন কেন এখনো দূর?

🧭 সংসদে হট্টগোল ও ওয়াকআউট

এই মন্তব্যের পরে বিরোধী দলগুলো হট্টগোল শুরু করে। কংগ্রেস সদস্যরা স্পিকারের আচরণে ক্ষোভ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন। কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন:

“আজ সংসদে এমন একটা মুহূর্ত এলো, যেখানে শহীদের জাতীয় পরিচয় বলাও বিরক্তির কারণ!”

🌐 সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়

এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। সাধারণ মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত—একপক্ষ বলছেন, “প্রিয়াঙ্কা সঠিক বলেছেন। শহীদদের নামের আগে ‘ভারতীয়’ বলাটা গর্বের।”অন্যপক্ষ বলছেন, “দেশপ্রেম নিয়ে এমন আবেগপূর্ণ রাজনীতি করা উচিত নয়।”

🔍 বিশ্লেষণ: রাজনৈতিক আবেগ নাকি সচেতন বার্তা?

এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে —👉 সংসদ কি জাতীয় আবেগ প্রকাশেরও স্থান নয়?👉 শহীদের নাম বলার ধরন নিয়েও যদি বিতর্ক হয়, তবে গণতন্ত্র কোথায় দাঁড়িয়ে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের বিতর্কে আসল ইস্যু যেমন শহীদের প্রতি দায়িত্ব, তেমনই সামনে আসে সংসদীয় শিষ্টাচারের ব্যাখ্যা।

📌 শেষ কথা

‘ভারতীয়’ বলাকে যদি সংসদে অসভ্যতা বলে গণ্য করা হয়, তবে প্রশ্ন উঠবেই— দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া মানুষদের নাম বলার ধরনও কি নিয়ন্ত্রিত হবে?

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রশ্নটা আজ সংসদের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে জনগণের কানে—

> “যাদের জন্য আমরা বেঁচে আছি, তাদের পরিচয়ে ‘ভারতীয়’ বললে সমস্যা কোথায়?”

👉 পাঠকের জন্য প্রশ্ন:

আপনার মতে, শহীদের নামের আগে ‘ভারতীয়’ বলাটা কি সত্যিই বিতর্কিত? মতামত জানান মন্তব্যে।