
🕊️ রচনাঃ রেদোয়ান মণ্ডল📅 প্রকাশিতঃ ২৮ জুলাই, ২০২৫📍 মধ্যপ্রাচ্য ডেস্ক
🌍 বিশ্ব রাজনীতির নতুন মোড়
ফ্রান্স সম্প্রতি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে—ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপ বিশ্বমঞ্চে আলোচনার ঝড় তুলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া এসেছে ইসরাইলের দিক থেকে। তারা ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এটিকে শান্তিপ্রক্রিয়ার জন্য ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে মন্তব্য করেছে।
🇫🇷 ফ্রান্সের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে?
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে জানান:
> “ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানবিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক শান্তির লক্ষ্যেই নিয়েছি।”
এটি ছিল শুধু রাজনৈতিক নয়, এক মানবিক ও নৈতিক অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে কথা বলে আসছিল, এবং এই স্বীকৃতির মাধ্যমে তারা সে অবস্থানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

🇮🇱 ইসরাইলের তীব্র ক্ষোভ
ফ্রান্সের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরাইলি সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়।🔴 তেলআবিবে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।🔴 ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়:
> “এই সিদ্ধান্ত একতরফা এবং চরম ভুল। এটি শান্তির পথে বাধা তৈরি করবে এবং চরমপন্থীদের উৎসাহ দেবে।”
এছাড়া ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলোতেও এই সিদ্ধান্তকে ‘প্রতারণা’, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ এবং ‘অন্যায্য চাপ’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কেমন?
ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ, যেমন:
স্পেন
নরওয়ে
আয়ারল্যান্ড
তারা বলছে, “ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া বিকল্প নেই।”
এদিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন এখনও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হলেও, পূর্ণ সদস্যপদ পেতে মার্কিন ভেটোর বাধা রয়েছে।

🧭 এটা কি কেবল কূটনৈতিক চাল? না মানবিক বার্তা?
এই প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কেউ বলছেন ফ্রান্স রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, আবার কেউ বলছেন—গাজায় চলমান সহিংসতা ও শিশু মৃত্যুর করুণ চিত্রই এই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে।
ফ্রান্সের জনমতেও একটি বড় অংশ ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। ফলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির হিসাবও হয়তো এখানে ভূমিকা রেখেছে।
🔮 এখন কী হবে?
ইসরাইল-ফ্রান্স সম্পর্ক সামনে আরো ঠান্ডা হতে পারে। সম্ভাব্য প্রভাব:
কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি স্থগিত হতে পারে।
ইউরোপের আরও দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে।
ফিলিস্তিন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে।
🕊️ শেষ কথা: শান্তি না উত্তেজনা?
ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ যেমন সাহসী, তেমনি তা কূটনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। ফিলিস্তিনিদের স্বপ্ন পূরণে এটা একটি বড় ধাপ, কিন্তু একইসঙ্গে এটি আরও বিভাজনও তৈরি করতে পারে।
সময়ই বলবে, এই স্বীকৃতি নতুন শান্তির দরজা খুলে দেবে, নাকি উত্তেজনার আগুন আরও জ্বলবে।
📌 আপনার মতামত কী?
এই সিদ্ধান্ত কি যথাযথ ছিল? নাকি এতে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আরও অনিশ্চিত হলো? নিচে মন্তব্যে জানান।
📢 শেয়ার করুন এই প্রতিবেদন যদি আপনিও বিশ্বাস করেন, স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়া ফিলিস্তিনিদের অধিকার।