উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০২৫: এনডিএর জয় প্রায় নিশ্চিত, নীতীশ কুমারের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা

ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০২৫ সামনে চলে এসেছে, আর তার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এনডিএ সংসদীয় দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন। সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশনের অচলাবস্থার মাঝেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

🏛️ উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়সূচি

মনোনয়ন দাখিল শুরু: ৭ আগস্ট ২০২৫

মনোনয়ন দাখিল শেষ: ২১ আগস্ট ২০২৫

ভোটগ্রহণ (প্রয়োজনে): ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এই সময়সূচি অনুযায়ী এনডিএ এখন প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।

🔹 এনডিএর সম্ভাব্য প্রার্থী

এনডিএর কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত থাকায় তাদের জয় প্রায় অনিবার্য। সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থীরা হলেন:

1. নীতীশ কুমার – বিহারের মুখ্যমন্ত্রী; প্রার্থী হলে বিহার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।

2. রাজনাথ সিং – প্রতিরক্ষা মন্ত্রী; অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব।

3. হরিবংশ নারায়ণ সিং – বর্তমান রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান; সংসদীয় অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ।

4. বিনয় সাক্সেনা / মনোজ সিনহা – প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, কেন্দ্রে আস্থাভাজন নেতা।

🔹 বিরোধীদের কৌশল

বিরোধী ইন্ডিয়া জোট উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতীকী প্রার্থী দিতে চাইছে।

শশী থারুরের নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় এসেছে।

লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক বার্তা প্রদান ও বিরোধী ঐক্য প্রদর্শন, যদিও জয়ের সম্ভাবনা নেই।

🌐 জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

১১️⃣ রাজ্যসভা ও সংসদীয় কাজকর্মে প্রভাব

উপ-রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, তাই এনডিএর প্রার্থী জিতলে সংসদীয় কার্যক্রমে এনডিএর প্রভাব আরও দৃঢ় হবে।

২২️⃣ বিহার রাজনীতিতে পরিবর্তন

যদি নীতীশ কুমার প্রার্থী হন, তবে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী পদ খালি হবে।

এতে বিজেপি রাজ্যে আরও শক্তিশালী হবে এবং বিরোধীদের প্রভাব কিছুটা কমবে।

৩৩️⃣ বিরোধীদের জন্য প্রতীকী সুযোগ

প্রতীকী প্রার্থী দিয়ে বিরোধীরা ঐক্যের বার্তা দেবে।

বাস্তবে সংসদীয় সংখ্যার কারণে এনডিএর জয় নিশ্চিত

৪৪️⃣ ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব

এনডিএর জাতীয় শক্তি আরও সুসংহত হবে।

বিরোধীরা ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে ২০২৯ নির্বাচনেও এনডিএর সুবিধা অব্যাহত থাকতে পারে।

✅ সারসংক্ষেপ

এনডিএর জয় প্রায় নিশ্চিত; প্রার্থী যেই হোক না কেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের পক্ষেই।

নীতীশ কুমারের সম্ভাব্য মনোনয়ন বিহার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

বিরোধীরা প্রতীকী লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ, তবে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।

জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: রাজ্যসভা কার্যক্রমে এনডিএর সুবিধা, বিহার রাজনীতিতে পরিবর্তন এবং ২০২৯ নির্বাচনের আগে জোটের শক্তি আরও বৃদ্ধি।

Share:

WhatsApp
Telegram
Facebook
Twitter
LinkedIn